শুরু করছি এই বলে যে জীবন যেহেতু তোমারসো তোমাকেই তোমার জীবনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এই পোস্টের মাধ্যমে শুধু তোমাকে তোমার সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সাহায্য করবো।



আমি জানি HSC এর পরের সময়টা কতোটা জটিল সময়। কারণ অন্য সবার মতোই আমিও এই জটিল সময় পার করে এসেছি। সবারই একটা করে লক্ষ থাকেঅনেকের আবার আমার মতো কয়েকটা করে স্বপ্ন থাকে। সমস্যা হয় তাদের নিয়ে।
জীবনের এই Turning Point এ এসে বুঝতে পারে না যে কোন দিকে যাবে সে। দেখা যায় যে বেশ কয়েকটা ভালো ভালো ভার্সিটি তে চান্স পাবার কারণেই ঠিক করে উঠতে পারেনা যে সে আসলে কোথায় পড়বে। BUET, KUET,RUET, CUET,BUTex অথবা DU এর ভালো ভালো সাবজেক্ট এর হাতছানি দেখে স্বাভাবিক ভাবেই দিশেহারা হবারই কথা।
Just think yourself that Which dream u dreamt deep inside your heart. ছোট বেলা থেকেই কোন না কোন স্বপ্ন তোমার মনের গহীনে আছেসেটাকেই বাস্তবায়ন করো। সেটাই সব চেয়ে ভালো হয়দেখা গেলো যে বাবা মায়ের কথা মতো বা অন্য কারো কথামতো কোথাও ভর্তি হলাকিন্তু সেটা তোমার মন মতো হল না তাহলে কিন্তু তোমাকে তোমার সারাটা জীবন আফসোস করে কাটাতে হবে।
আমি আমার পারসোনাল উদাহরণ দেই… HSC এর পর ভর্তি পরীক্ষা দিলাম, BUET এ Waiting দেখে বেশ হতাশ হলাম। তবুও হাল ছাড়ি নাই। সেই ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম যে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বো। এজন্য সেভাবেই নিজেকে গড়েছিআর এখানে এসে হাল ছাড়বো না। তাই কুয়েটরুয়েটআর চুয়েট এ আরও বেশি ভালো করে পরীক্ষা দেবার ট্রাই করলাম। আল্লাহ্‌ এর রহমতেআমার নিজের চেষ্টা আর সবার দোয়ায় প্রায় সব জায়গায় বেশ ভালো রকমে টিকে গেলাম।
তারপরেই শুরু হয়ে গেলো সমস্যা।
কোথায় কোন সাবজেক্ট এ পড়বো?
বাবা মা একদিকে আর আমি এক দিকে। না না… আমি নিজেও একদিকে না। বেশ কয়েক দিকে।
রুয়েট এ পাচ্ছি ইলেক্ট্রিক্যালকুয়েট এ পাচ্ছি কম্পিউটার সায়েন্সচুয়েট এ হচ্ছে মেকানিক্যাল। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে Applied Physics, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৬ তম। কোনটা ছেড়ে কোনটায় যাবো নিজের মধ্যেই প্যাঁচ লাগতেছে।
প্যাঁচ লাগার কারণ ও আছে। সেই ছোটবেলা থেকেই ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস এর প্রতি দুর্বার আকর্ষণের জন্য ইলেক্ট্রিক্যাল এর দিকে প্রচণ্ড ভাবে ঝুকে গেছিএদিকে এইচএসসি পড়ার সময়েই সিএসই তে পড়বো বলে ঠিক করেছি। আবার এইদিকে ঢাকা ভার্সিটি এর Applied Physics আমাকে ডাকছে।
বাসা থেকে এক কথা রুয়েট এ পড়তে হবে… তখন আর আমার বলার মতো অবস্থা নাই। আমি নিজেই তো Confused. এদিকে আবার বুটেক্স এর রেসাল্ট দিয়ে দিলো। বেশ ভালো রকমের পজিশন আসলো। সমস্যা আরও বাড়ল। অবশেষে নিজে নিজেই ঠিক করে ফেললাম যে আমি বুটেক্সেই পড়বো। বাসায় জানালাম। তারা আমার জেদ দেখে শেষ পর্যন্ত নিমরাজি হলেন। এবং শেষ পর্যন্ত আমি এই বুটেক্সেই এখন পরতেছি। এবং বেশ ভালো আছি। নিজে নিজে Satisfiedবুটেক্সে পড়তে পেরে।
...এখানে পড়তে পারলাম নাঅইখান থেকে অই সাবজেক্ট ছেড়ে এখানে আসলাম এরকম করে আমি কখনোই হা হুতাস করি নাই। কারণ আমি নিজের ইচ্ছাতেই এখানে এসেছি… এটা আমার সিদ্ধান্ত। আর সেটা ছিল আমার জন্য পারফেক্ট সিদ্ধান্ত।


এজন্য তোমাদেরও বলি- তোমার নিজের যেটা পছন্দ সেটা নাও। জীবনটা তোমার। তুমি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখো যে কোনটা তোমার মন মতো সাবজেক্ট আর মনের মতো প্রতিষ্ঠান। সেখানেই যাও। কে কি বলল না বলল সেটা তোমার ব্যাপার নাআগে তো নিজের Satisfaction…


বুয়েটকুয়েটচুয়েটনা বুটেক্স ভালো সে দিকে আমি যাবো না। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করতেছে যে বুটেক্স এ পড়ে আমি কি করবোআমার ভবিষ্যৎ কি?
এই প্রশ্নের উত্তর আসলে অনেক আগেই আমি একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিছিলাম। সেতাই আবার কপি করে দিলাম এখানে(স্ট্যাটাস এর মেইন লেখক শুভ ভাইয়া)
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের কাজ কীএরা আসলে কি করেকেনই বা এদের কে উচ্চ বেতনে চাকরি দেয় টেক্সটাইল শিল্পমালিকরা।
অনেকেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নাম শুনলেই নাক সিটকানবলেন এইটা কোন ইঞ্জিনিয়ারিং হইলকাপর-চোপরের আবার কিসের ইঞ্জিনিয়ারিংশতকরা ৮০ভাগ লোকই জানেন না যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি মানে কাপর-চোপরের ইঞ্জিনিয়ারিং না। এটি সম্পূর্ন ম্যানুফ্যাকচারিং বেসড একটি প্রসেস যেখানে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে মেশিন সেটাপ থেকে শুরু করে প্রসেস কন্ট্রোলপ্রোডাক্ট দেভেলপমেন্ট গিয়ার মেকানিসম এবং মেইন্টেনেন্স নিয়ে কাজ করতে হয়। স্পিনিং এর ইঞ্জিনিয়ার দের প্রোগ্রাম ইনপুট দেয়া জানতে হয়। ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ার দের প্রথম সারির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে হয়। নাসার বিজ্ঞানিরা যারা দীর্ঘদিন যাবত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা অসংখ্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের গবেষনায় নিযুক্ত করে স্পেস স্যুট এবং ন্যানোফাইবারকার্বন ফাইবারের শিল্ড তৈরীর জন্য।
অতি সম্প্রতি বুয়েট নন-ওভেন জূট টেকনোলজী কে জিও টেক্সটাইল হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজে ব্যবহার শুরু করেছেআগামিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত বিষয় হিসেবে যখন জিও-টেক্সটাইল পড়ানো হবে তখন এই কোর্সের জন্য বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দেরকেই শিক্ষক হিসেবে পাবেতারা। সত্যি বলতে কী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের সাথে সব চেয়েবেশি মিল রয়েছে আইপিই ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে।
যাই হোকপেশা হিসেবে অনেকের অ্যালার্জি থাকলেও বাংলাদেশে একমাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেইড ইন বাংলাদেশ ” ট্যাগ এ ব্র্যান্ডিং শুরু করেছে। আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান ( যেমন ওয়াল্টন ) দাবি করে তারা নাকি বাংলাদেশকে ব্যান্ডিং করছেআন্তর্জাতিক হাজার হাজার ব্র্যান্ডের ভিড়ে কয়জন মানুষ ওয়াল্টন ব্যবহার করে কেউ জানেজেনে রাখুন বিশ্বের ২য় বৃহত্তম জিন্স ব্র্যান্ড এইচ এন্ড এম শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকেই বছরে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার মুল্যের পন্য নিয়ে থাকেআজ আমরা যারা হলিউডের মুভি দেখে অভ্যস্ত তারা কয়জনে জানি এই সব নামীদামি সেলিব্রেটিরা বাংলাদেশ এর নাম কে এক্টি ব্র্যান্ড হিসেবে জানেফুটবল বিশ্বকাপে গ্রেড ওয়ান জার্সি ন্যাটোরক্যামোফ্ লেজ ড্রেস থেকে শুরু করে ডিজেলরিবকনাইকিপুমা কারা নির্ভর করে না এই দেশের টেক্সটাইল প্রোডাক্ট এর উপরআর যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করেছেন তারা এই দেশের ই টেক্সটইল ইঞ্জিনিয়ার রা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশ কে টেক্সটাইল সেক্টরের পরবর্তি চীন হিসেবে ঘোষনা করেছে।
Feel proud to be a টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার…”
আশা করি যারা জানো না তাদের অনেকের ভুল ভেঙ্গেছে।


মনে করলাম বা ধরে নিলাম যে তুমি ঠিক করেছ যে তুমি বুটেক্স এ পরবা। তাহলে নিচের অংশটা পড়তে পারো।

বুটেক্স ভর্তিচ্ছুদের প্রতি কিছু টিপস


অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে যে বুটেক্স থেকে পড়ে বাইরে(বিদেশে) জব করা যাবে কিনাআবার অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে যে এখান থেকে পড়ে বিদেশে পড়াশুনার সুযোগ আছে কিনা…? সব গুলো প্রশ্নের উত্তর হল হ্যাঁ। আর আমাদের বুটেক্স এর ভাইয়া ও আপুদের বিদেশে কিছু সাফল্য নিচের লিংক গুলোতে আছে
সময় করে একটু দেখে নাও
Photo Album of Textiles Friend Circle

ইচ্ছা করলেই বুটেক্স থেকে Scholarship নিয়ে বাইরে পড়াশুনা করতে যাওয়া যায়। আরেকটা বিশেষ সুবিধার কথা বলি যেটা বুটেক্স ছাড়া বাংলাদেশের র কেউ দিতে পারবে না। Rieterকোম্পানি প্রতিবছর বুটেক্স এর একজন স্টুডেন্টকে তাদের কোম্পানি তে ৭ দিনের একটা ট্যুর এর সুযোগ করে দেয়আর সেটা Yarn Manufacturing এর স্টুডেন্ট দের জন্য শুধু।


এবার আশা যাক ল্যাব সুবিধার কথায়। আমাদের বুটেক্স এর ল্যাব গুলোতে যে পরিমাণ মেশিন বা যন্ত্রপাতি আছে টার অর্ধেকও অন্য কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না। এবং আসলেই নাই। মোট ১০০ কোটি টাকারও বেশি শুধু Instrument ই আছে আমাদের বুটেক্স ল্যাব এ।


এখন আশা যাক যে কোন ডিপার্টমেন্ট ভালো হয় পড়ার জন্য।
তার আগে বলে নেই ৬ টা ডিপার্টমেন্ট এর নাম ও তাদের কাজঃ
১- Yarn Manufacturing Engineering: মুলত কাজ হল ফাইবার থেকে সুতা প্রস্তুত করা।
2 -Fabric Manufacturing Engineering: মুলত কাজ হল সুতা থেকে Weaving or Knitting এর মাধ্যমে ফেব্রিক বা কাপড় প্রস্তুত করা।
৩ -Wet processing Engineering:মুলত কাজ হল ফেব্রিক এ  বা সুতা তে রঙ করা।
৪ -Apparel Manufacturing Engineering: মুলত কাজ হল রঙ করা বা Finished ফেব্রিক কে কেটে এবং সেলাই করে Export উপযোগী করে Export করা।
৫ -Fashion Design ঃমুলত কাজ হল নতুন নতুন ডিজাইন এর কাপড় তৈরিএবং নতুন ফ্যাশান চালু করা।
৬ -Textile Management ঃ মুলত কাজ হল পুরো সিস্টেম এর ম্যানেজমেন্ট করা।


এবার আশা যাক কোন সাবজেক্ট এ পরবা।
সেটাও তোমার উপরেই নিরভর করে। তুমি কোন বিষয়ে পরবা সেই সিদ্ধান্তও তোমাকেই নিতে হবে। আমি এখানে শুধু তোমাদের একটু হেল্প করতে পারি। প্রথমেই ঠিক করো যে তুমি কোন সেক্টরে ভালো করবা?
ফ্যাশাননাকি পিওর ইঞ্জিনিয়ারিংনাকি ম্যানেজমেন্ট নাকি নাকি উচ্চতর পড়াশুনার জন্য বিদেশে যাবা?
ফ্যাশান এ পড়তে হলে তোমাকে বেশ ক্রিয়েটিভ হতে হবেসেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারতেছ। বাংলাদেশের আর কোথাও ফ্যাশান এর উপরে বিএসসি ডিগ্রি দেয়া হয়নি। একমাত্র বুটেক্স থেকেই দেয়া হচ্ছে। সো তোমরা যারা মনে করো যে তোমাদের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি আছেভালো ডিজাইন করতে পারোএবং বেশ ফ্যাশানাবল তারাই এই সাবজেক্ট এ পড়তে পারলে বেশ ভালো করবা।
এখন আসো নাকি পিওর ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপারে। তোমার যদি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ইচ্ছা থাকে প্রবল তবে তুমি Yarn Manufacturing, Fabric Manufacturingবা Wet processing পড়তে পারো। কারণ এই তিনটা সাবজেক্ট হল একেবারে ইঞ্জিনিয়ারিং। তার মধ্যে ইয়ারন কে বলা হয় “Mother of Textile Engineering”,
এখন আশা যাক ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে। তোমার যদি ম্যানেজিং পাওয়ার ভালো থাকেইংলিশ এ দক্ষতা বেশ ভালো থাকে তবে এই সাবজেক্ট এ পড়া ভালো।
বাদ পড়ল আপারেল। এই সাবজেক্ট এ পড়তে হলেও তোমাকে ম্যানেজিং পাওয়ার ও ইংলিশ এ দক্ষতা বেশ ভালো থাকতে হবে। আর মেইন কথা হল তোমাকে অবশ্যই চাপাবাজ হতে হবে এখান থেকে জব করতে হলে।
আর তুমি যদি উচ্চতর পড়াশুনার জন্য বিদেশে যাবার চিন্তা করে থাক তবে Yarn Manufacturing বা Fabric Manufacturing পরাই ভালো। কারণ এখান থেকে যাওয়া বেশ সহজ। Wet processing থেকেও যেতে বেশি প্রব্লেম হয় না।


এতক্ষন তো অনেক কচকচানি করলাম। এখন আশা যাক বেতন এর কথায়। বেতন অনুযায়ী কোন সাবজেক্ট ভালো হবে?
মন দিয়ে পরো।
–>ওয়েট প্রসেসিংঃ যদি তোমার কাছে বেতনটাই বড় কথা হয় তবে ওয়েট এ পরাই ভালো। এখানে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাজ করতে হয়রঙ নিয়ে সব সময়ে টেনশনে থাকতে হয়। আর ওয়েট এ পড়তে হলে তোমাকে টেকনিকাল ব্যাপার জানার পাশাপাশি chemistry সম্পরকে অনেক বেশি ধারনা রাখতে হবে। কারণ এটা chemistry based. সো ভেবে দেখো যে কি পরবা।
–>ফেব্রিক মানুফেকচারিংঃ এটা বেশ মজার সাবজেক্ট। এটা পরলে অনেক মজা পাবে। তবে টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো বেশ ভালো করে বুঝতে হবে। আর মেশিন ভালো বুঝতে হবে। জব করে খুব আরাম পাবা। এটাকেও পিওর ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। আর এখানে দুইটা ভাগ আছে Knitting আর weaving. এখানে একটা কথা আছে। নিটিং এ কোন সমস্যা নাইতবে ওয়েভিং এ বেশ শব্দ হয়।
–>আপারেল মানুফ্যাকচারিংঃ এখানে জব বেশ ভালো। কর্পোরেট টাইপের জব। তবে আগেই তো বলেছি ম্যানেজিং পাওয়ার ও ইংলিশ এ দক্ষতা বেশ ভালো থাকতে হবে। আর মেইন কথা হল তোমাকে অবশ্যই চাপাবাজ হতে হবে এখান থেকে জব করতে হলে। কারণ বায়ার এর সাথে সব সময় তোমাকে উঠা বসা করতে হবে।
–>ইয়ারন মানুফাকচারিংঃ একে বলা হয় মাদার অফ টেক্সটাইলস। ইয়ারন ছাড়া টেক্সটাইল এর অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। তবে কিছু কিছু কারণে বর্তমানে এই সেক্টরের জব একটু কম বেতনের। তবে জব করে বেশ আরাম। কারণ পরিশ্রম কম করেও বেশ ভালো বেতন পাওয়া যায়। পুরাই কর্পোরেট জব।
–>টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্টঃ ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আমার বেশি কিছু বলার নাই। নিজেদেরই বুঝে নিতে হবে। তার উপরে ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের বুটেক্স থেকে মাত্র ১ টা ব্যাচ বের হয়ে জব করতেছেএজন্য বলা কঠিন হচ্ছে। তবে ভাইয়াদের কাছে যা শুনেছি তাতে বেশ ভালই মনে হয়েছে। কয়েকজন বড় ভাইয়া আমাকে বলেছে যে আমি কেন ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট নেই নাই।
–>ফ্যাশান ডিজাইনঃ ফ্যাশান ডিজাইন নিয়েও বলার কিছু নাই। কারণ আমরাই প্রথন ব্যাচ যারা এখন ৪র্থ সেমিস্টার এ পরতেছি। সো কিভাবে বলিতবে একটা কথাই বলি। ফ্যাশান থেকে আমাদের এখান থেকেই প্রথম বিএসসি দেয়া হচ্ছে। আর এটার বাজারদর তো আমাদের ক্রিয়েতিভিটি এর উপরে ডিপেন্ড করবে।





সো অনেক কথাই তো হলো। আম আমার মতামত দিলামএখন বাকিটা তোমার দায়িত্ব। তোমার ভালো তোমাকেই বুঝতে হবে। তুমি এখন এমন একটা স্টেজ এ পৌঁছেছ যে তুমি এখন মোটামুটি সব কিছু বুঝতে শিখেছ।

আমি শেষে একটা কথা বলতে চাই।
টাকাই কিন্তু জীবনের সব কিছু না। নিজের Satisfaction কিন্তু অনেক বড় কথা।


- বাপ্পি ভাই এর ব্লগ থেকে সংগৃহীত