বর্তমানে বাংলাদেশসহ
বিশ্বে যে কয়েকটি শিল্প
মাধ্যম দ্রুত বিকাশ লাভ
করছে তার মধ্যে অন্যতম
হলো টেক্সটাইল শিল্প।
বাংলাদেশের
বৈদেশিক বাণিজ্যের
প্রায় ৮০ শতাংশই আসে
বস্ত্রখাত থেকে। পৃথিবীর
মোট পোশাকের প্রায় ১০
শতাংশই বাংলাদেশ
থেকে জোগান দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে বর্তমানে
কটন, সিনথেটিক মিল,
উলেন মিল, হ্যান্ড লুম,
ডাইং, ফিনিশিং এবং
এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড
গার্মেন্টসহ প্রায় ৯ হাজার
টেক্সটাইল শিল্প আছে।
বর্তমানে এ শিল্পের
চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি
রেখে প্রয়োজনীয় দক্ষ ও
শিক্ষিত জনশক্তি জোগান
দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই
টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে
উচ্চশিক্ষা এখন সময়ের
দাবি।
কোথায় পড়বেন :বর্তমানে
সরকারি ও বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে
১৪টি উচ্চশিক্ষা
প্রতিষ্ঠান, তেজগাঁওয়ে
একটি টেক্সটাইল
বিশ্ববিদ্যালয়, ৫টি
ডিগ্রি পর্যায়ের সরকারি
কলেজ, ৫৩টি ডিপ্লোমা
পর্যায়ের ইনস্টিটিউট এবং
৪০টি সরকারি বৃত্তিমূলক
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে
শিক্ষা দিচ্ছে। তবে যেসব
শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ে
এবং স্বল্প খরচে টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে
মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ করতে
ইচ্ছুক তাদের জন্য
সম্ভাবনার দ্বার খুলে
দিয়েছে রাজধানীর
বিভিন্ন প্রাইভেট
ইউনিভার্সিটি। এ
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন
সালে টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং
সিলেবাস ও ল্যাবরেটরি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি
কমিশন কর্তৃক অনুমোদন
লাভ করে বাংলাদেশের
কয়েকজন বিশিষ্ট
টেক্সটাইল বিশেষজ্ঞের
নেতৃত্বে এবং অভিজ্ঞ
শিক্ষকমণ্ডলীর সমন্বয়ে
স্ক্রিনিং, উইভিং,
ডাইং-প্রিন্টিং ও
গার্মেন্ট বিষয়ে
স্পেশালাইজেশন/মেজর
কোর্সসহ টেক্সটাইলের বিভিন্ন
বিভাগ চালু
রয়েছে এ সকল ভার্সিিটতে।
বলা হয়ে থাকে,
হাতে-কলমে শিক্ষা,
আপনি যা বইয়ে পড়বেন তা
যদি প্রয়োগ করে দেখতে
না পারেন তাহলে আপনার
জানা হবে অন্ধের মতো।
বিভিন্ন প্রাইভেট
ইউনিভার্সিটি
ইতিমধ্যে উন্নত টেক্সটাইল
ল্যাবরেটরি স্থাপন করে
শিক্ষার্থীদের হাতে-
কলমে শিক্ষার সুযোগ করে
দিয়েছে। বিভিন্ন প্রাইভেট
ইউনিভার্সিটির
টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং
সিলেবাস এমনভাবে
তৈরি করা হয়েছে, যাতে
এইচএসসি পাস এবং
টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে
ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী
শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে
বিএসসি ইন টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে
পারে। টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে
ডিপ্লোমা
সম্পন্নকারীরা কোর্স
ওয়েভারসহ (১২১ ক্রেডিট,
১০ সেমিস্টার) ভর্তির
সুযোগ পাচ্ছে।
কর্মক্ষেত্র :টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের
ক্ষেত্র ও চাহিদা দিন দিন
বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের
বাইরেও রয়েছে প্রচুর
চাকরির সুযোগ। এ ছাড়া
বিদেশে টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারদের বিপুল
চাহিদার কারণে
কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ
বিভিন্ন উন্নত দেশে
মাইগ্রেশনের মাধ্যমে
প্রতি বছর প্রচুর টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ার বিদেশে
পাড়ি জমাচ্ছেন।
ভর্তির যোগ্যতা :বিভিন্ন
প্রাইভেট
ইউনিভার্সিটিতে চার
বছরমেয়াদি (১২
সেমিস্টারে ১৬১
ক্রেডিট) বিএসসি ইন
টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রোগ্রামে ভর্তির নূন্যতম
যোগ্যতা হলো এসএসসি ও
এইচএসসি (বা সমপর্যায়ের)
পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয়
বিভাগ/জিপিএ ২.৫০ বা
ও-লেভেলে ৫টি বিষয় ও
এ-লেভেলে দুটি বিষয়ে
পাস করতে হবে।
ডিপ্লোমা
ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রে
৩ বছর ৪ মাসমেয়াদি (১২১
ক্রেডিট, ১০ সেমিস্টার)
বিএসসি ইন টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং
প্রোগ্রামে ভর্তির নূন্যতম
যোগ্যতা হলো টেক্সটাইল
ও ইঞ্জিনিয়ারিং
বিষয়ে
ডিপ্লোমাধারী।

Collected.