Bangladesh Universit of Textiles

Thursday, May 11, 2017

Wednesday, May 3, 2017

  Question Bank (BUTEX)

Level 2



 -----------------

1. Electrical and Electronic Engineering Question Bank :: Click to Download

2. Textile Testing and Quality Control-I :: Click to DOWNLOAD

3.  Fabric Manufacturing-I Question Bank :: Click to DOWNLOAD



Ads::

Saturday, November 19, 2016

 বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ।



PDF Download Link : DOWNLOAD RESULT (PDF)






Wednesday, November 2, 2016


জব এর ভাইবার জন্য কিছুটা সময় দেয়া এবং প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছুটা আলোচনা  :
টেক্সটাইল এর যতোই রেফারেন্স থাকুক না কেন আপনাকে কোম্পানির নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে জব পেতে হবে ।  বেশির ক্ষত্রেই দেখা যায় অনেকেই রেফারেন্সের জোরে ইন্টার্ভিউ পর্যন্ত যেতে পারলেও তারা লিখিত পরীক্ষায় টিকতে পারেন না ।
এর জন্য অবশ্য নিজেকেই দায়ী করতে হবে,  কারন আপনি স্টাডির পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া এর জন্য নিজেকে প্রুস্তুত করতে পারতেন।
আমাদের টেক্সটাইল স্টুডেন্টদের ইন্টার্ভিউ সম্পর্কিত কিছু ভ্রান্ত ধারনা :
১. টেক্সটাইল জব রেফারেন্স ভিত্তিক !!!
ভালো মানের ফেক্টরিতে জব করতে হলে তাদের HR এর নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসারে আপনাকে ঢুকতে হবে যার জন্য আপনাকে লিখিত, মৌখিক,  প্রেজেন্টেশন দিয়ে আপনাকে জব পেতে হবে।
২. মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে জব এর জন্য রেফারেন্স লাগে না এর জন্য কোয়ালিফিকেশন লাগে,  মেক্সিমাম স্টুডেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া জানার না করনে উটকো ঝামেলা মনে করে ওই জব গুলিতে এপ্লাই করেন না যার ফলে এই সেক্টর এখনো অনেককেই প্রতিযোগী হীন করে রাখছে।

 Ads

৩. আমাদের রানিং স্টুডেন্টদের ধারনা টেক্সটাইল এর ভাইবায় শুধু টেক্সটাইল এর প্রশ্ন হয়।
এটি সম্পুর্ন ভুল ধারনা,  কারন টেক্সটাইল এর একটি এপ্লাইড সাইন্স তাই এইখানে জবের জন্য সব দিকে ১০০ ভাগ কোয়ালিফাইড হতে হবে,  কিছু গুনাগুন আপনার কাজে দিবে যেমন ম্যাথম্যাটিকাল এবিলিটি,  সাধারন জ্ঞান,  প্রেজেন্টেশন,  ভাষার দক্ষতা ইত্যাদি।
টেক্সটাইল ভাইবার প্রশ্ন হলে
৪০% টেক্সটাইল ভিত্তিক
২০% ম্যাথম্যাটিকাল প্রব্লেম
২০% ইংরেজি
২০% জেনারেল নলেজ
এখানে একটি ভুল ধারনার জন্য মেক্সিমাম প্রথম ভাইবা তে উত্তির্ন হতে পারেন না।
৪. মেক্সিমাম স্টুডেন্টস ভাইবার আগে ভালো কন্সাল্টেন্সি পান না,  বিধায় তারা ভাইবা বোর্ডে নানান অসুবিধায় পড়েন । ৮০% স্টুডেন্ট প্রথম ভাইবা দিয়ে বোঝেন টেক্সটাইল ভাইবার প্রক্রিয়া আসলেই কেমন হয়।
৫. ডিফেন্স এর ভাইবার সময় কি ভাবে প্রশ্ন হয় বা তার উত্তর কি ভবে দিতে হয় এর জন্য ডেমো টেস্ট বা মক টেস্ট ফেইস করে যায় সবাই যাতে করে তাদের কাছে ওই বিষয় গুলু আগে থেকে জানা থাকে,  আমাদের জুনিয়র গন চাইলে সিনিয়র দের হেল্প নিয়ে আগে থেকে সেই সম্বাভ্য প্রশ্ন  জেনে ভাইবায় যেতে পারেন। জব সিরিয়াস ইস্যু এর ক্ষত্রে নো কম্প্রোমাইজ।
৬. আমাদের অনেক নবিন প্রকৌশলী টেক্সটাইল এর সংজ্ঞা,  কাউন্ট এর সংজ্ঞা বলতে অনেক কস্ট পেতে তার কারন হলো সেমিস্টার শেষ হলে স্টাডি মডিউল তারা সিকোয় পুরে রাখে,  আমাদের মতে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ৪র্থ বছরে উঠলে অন্তত তার জবের কথা চিন্তা করে হলেও তার গতো তিন বছরের পড়া গুলি রিভিউ করা উচিৎ ।
৭. অনেকেই নিজের মেজর পড়েই খালাস,  কিন্তু ২ সেমিস্টার খুব বেশি নয়,  তাই একজন অন্য জন থেকে খুব বেশি জেনে যাবেন না ঠিক নয়,  টেক্সটাইল এর যারা কর্মরত আছেন তাদের কেইস স্টাডি করে দেখবেন ৬০-৭০% স্টুডেন্ট নিজের ট্রেড অনুযায়ী জব করতে পারেন না। ধরুন আপনি মার্কেটিং বা মার্চেন্ডাজিং করবেন তার জন্য স্পেসিফিক কোন মেজর নেই,  এটা আরো বড় বিপদ কারন এর জন্য A to Z সব কিছু জানতে হবে।  ফেক্টরি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বলতে বোঝে আপনি সকল বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন ব্যাক্তি কিন্ত আপনি যদি এক বিষয় এর উপর নির্ভর করে থাকের তবে আপনি তাদের চোখে বোকা থেকেই যাবেন বা ইউসলেস ।
৮. আরেকটি বিষয় যেটা টেক্সটাইল এর জব এর ক্ষত্রে জানতে চায় কোম্পানি তা হলো অভিজ্ঞা,  বলতে পারেন ফ্রেশার এর আ বার অভিজ্ঞতা কি !!!  ফ্রেশার এর অভিজ্ঞতা হলো তার ইন্টার্ন এর আর প্রজেক্ট করার অভিজ্ঞতা ।
অতিব দুঃখের সাথে বলতে হয় টেক্সটাইল নবীন ইঞ্জিনিয়ার ৮০% স্টুডেন্ট ইন্টার্ন কে পিকনিক আর সেল্ফি তোলার স্থান মনে করেন যার ফলে প্রেক্টিকাল ফেক্টরি জনার অভিজ্ঞতা থেকে তারা বঞ্চিত হন।  এটি জবের পওয়ার পরো ভোগায়।
৯. এগ্রিমেন্ট / চুক্তি
এগ্রিমেন্ট সম্পর্কে আমাদের আমাদের ফ্রেশার জুনিয়র দের ভুল ধারনা আছে অনেকেই এগ্রিমেন্ট শুনলে অনেকেই জব করতে চান না,  এগ্রিমেন্ট করা থাকলে আপনাদের সহজে চাইলেও বের করে দিতে পারবে না,  আর বের করতে হলে আপনাদের ৩ মাসের সেলারি দিয়ে পরে বের করতে হবে।  আর যার এগ্রিমেন্ট ছাড়া জব করেন তারা সকালে ফেক্টরিতে ঢুকে বিকেলে জব থাকবে কিনা তার গেরান্টি দিতে পারেন না,  আর তাদের ৬ মাস অপেক্ষা করতে হয় জব পার্মানেন্ট হতে ।
১০. ভাষার সমস্যা
বেশির ভাগ স্টুডেন্টদের ইংরেজি বলার দক্ষতা দেখলে ইন্টার্ভিউ বোর্ডের কর্মকর্তা গন হাসেন,  কারন ৪ বছর ইংলিশ পড়ার পরো ভাষা তারা কতগা বলতে পারেন না ।  টেক্সটাইল একটি গ্লোবাল সেক্টর এখানে দেশি বায়ার নেই সবাই বিদেশী তাই এখানে বহু ভাষা  জানার মুল্য অসিম ।
১১. স্মার্টনেস
আমাদের জুনিয়রদের স্মার্টনেস এর ধারনা ভুল ধারনা আছে তাদের মাঝে হাতে রিস্ট বেন্ড,  হেয়ার স্টাইল আর ঢাকাইয়া মডে কথা বলাটা স্মার্টনেস।  এই ধারনা ভুল স্মার্টনেস বলে বোঝায় শুদ্ধ বাছন ভংগি,  ভালো উপস্থাপনা, ভালো বডি ল্যাংগুয়েজ,  ভালো IQ,  ভালো টেক্সটাইল জ্ঞান,  উপস্থিথ বুদ্ধি ইত্যাদি সব কিছুর কম্বিনেশন,  এটি শুধু টেক্সটাইল জব নয় অন্য সকল জব এর জন্য এই গুন গুলি থাকা জরুরী।
১২. কম্পিউটার স্কিল
এখন টেক্সটাইল জব যেমন  IE, Marchandising ,  Planning, টেস্টিং জব গুলির জন্য কম্পিউটার দক্ষতা মাস্ট,  তাই ভাইবা নেয়ার সময় কম্পিউটার এর প্রেক্টিকাল টেস্ট নেয়া হয় ।তারা এক্সেল এর সুত্র গ্রাফ,  চার্ট করতে দেয়।
আমাদের জুনিয়র অনেকেই কম্পিউটার এর ব্যাবহার বলতে  গান বাজানো আর ফেইস বুকিং আর ফটো এডিটিং বোঝে ।
১৩. CGPA fact
নিজেকে মালিক এর পজিশনে রেখে চিন্তা করুন আপনি আপনার প্রতিস্টানে দক্ষ লোক নিবেন কিনা !!! যেহেতু আপনি তাকে কাজের বিনিময়ে সেলারি দিচ্ছেন অবশ্যাই আপনি চাইবেন তার কিছু কোয়ালিটি দক্ষতা থাকুক তাই কোম্পানি গুলি ভালো Cgpa এর কন্ডিশন বেধে দেয় আপনাদের । 
হা আমি দক্ষ !!!
আমি কোঠোর পরিশ্রমি !!!
আমি অনেক জানি !!!
হা,  আপনি ফ্রেশার জব এর এক্সপেরিয়েন্স নেই,  তাই আপনার কোয়ালিটি মিজার করার একমাত্র প্যারামিটার হলো আপনার একাডেমীক রেজাল্ট আর ব্যাক গ্রাউন্ড,  আপনার রেজাল্ট আপনার ভালো মন্দ বিচার করবে কর্তিপক্ষের কাছে । আপনি জ্ঞানের জাহাজ বুঝলাম কিন্তু আপনার CGPA খারাপ,  ভাইবার পার্ফোমেন্স খারাপ তো এই জাহাজ এর মুল্য ভাংগারির মতো।
১৪. সিভি ফেক্ট :
কাল ভাইবা আজ মনে হলো
সিভি রেডি নেই !!!
সিভি কেমন হওয়া উচিৎ !!!
কভার লেটার দিবো কি দিবো না !!!
এমন যদি হয় তবে আপনার ভেতরে পেশাদারিত্বর অভাব আছে ,  আপনি চাকুরি থাকে অবশর নেয়ার আগ দিন পর্যন্ত আপডেট সিভি,  কভার লেটার থাকা জরুরী,  তবে এর জন্য কেনো একটু সময় দেবেন না।  লাগে স্টুডেন্ট লাইফের ১ টা বছর সময় দিন আস্তে আস্তে গুছান সিভি কভার লেটার।
দেখুন তাডাহুড় করে এসাইনমেন্ট এর মতো কপি পেস্ট করতে গিয়ে,  অন্যের বাবা মার নাম যেনো এডিট করতে না ভুলে যান যেনো।
১৫. প্রতীযোগী থাকা
প্রতিযোগী থাকবে এটাই স্বাভাবিক তাদের হিংসে দিয়ে নয় নিজের গুন,  কোয়ালিটি দিয়ে হারিয়ে পজিশনে যেতে হবে আপনার ক্লাস মেটো আপনার প্রতিযোগী । বাংলাদেশে ৩০-৪০ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট আছে যেখানে ৩০-৪০ হাজার স্টুডেন্ট বের হচ্ছে   আপনাকে আপনার কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে  কোয়ানটিটির উপর নয়।
১৬. নিজের ভার্সিটির বড়ভাই খোজা
মেক্সিমাম স্টুডেন্ট দের ক্ষত্রে দেখা যায় তারা নিজ ভার্সিটির বড় ভাই খুজে ফেরেন, হা এটি টেক্সটাইল কিছু ক্ষত্রে  পজেটিভ যেমন জব এর ভেকেন্সি গুলি জানা যায়।
নেগেটিভ দিক হলো এটির উপর নির্ভর করে আন কোয়ালিফাইড স্টুডেন্ট গুলি যারা প্রতিযোগিতায় ভয় পায়। 
রিয়েলিটি হলো : টেক্সটাইল এ একটি কথা প্রচলিত আছে যে টেক্সটাইল এ নিজের ভার্সিটি স্টুডেন্ট দিয়ে কাজ করানো যায় না কারন তাদের উপর রাগ দেখানো যায় না, আর অনেক প্রাইভেসি তারা এক্সপোজ করে দেয়।  টেক্সটাইল সেক্টর চরম পেশাদারী সেক্টর এখানে কাজের ক্ষত্রে ভাই, বন্ধু কোন মুল্য নাই। যা থাকার সব ফেক্টরির বাইরে থাকে।
১৭. সেক্টর বা জব স্টাডি
একজন পেশাদারী  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার মেজর নেয়ার পরা একটি কাজ এসাইনমেন্ট এর মতো করতে পারে তা হলো ফেক্টরিতে কওন জঅঅবের জন্য কি কোয়ালিটি,  কোয়ালিফিকেশন  লাগে তা স্টাডি করে নিজের ইভালিউশন করে তা নিজের মাঝে ইম্পলিমেন্ট করা ।
১৮. পরো নির্ভর শিলতা
এই সেক্টরে রেফারেন্স ছাড়া জব হয় না এই ভ্রান্ত ধারনা কে পুঁজি করে অনেকে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকে যার ফল স্বরুপ নিজের পার্সোনাল স্কিল গুলি ডেভলমেন্ট না করে অন্যের আশায় বসে থাকেন।  তারা মনে করেন মামা চাচা থাকলেই হয় রেজাল্ট বা স্কিল এর মুল্য নাই । টেক্সটাইল এর সারভাইব করতে হলে স্কিল দিয়ে টিকে থাকতে হবে রেফারেন্স এর মুল্য শুধু মাত্র ইন্টার্ভিউ পর্যন্ত।  মনে রাখবেন মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি তে স্কিল লাগে তারা রেফারেন্স দেখে না।  তা হলে কি জব করবেন না মাল্টি ন্যাশনাল এ ???
১৯. রেফারেন্স ছাড়া জব এর ভীতি
ফরেন বাইং হাউজ, ফরেন টেস্টিং,  কোম্পানির নিয়োগ এর সময় এপ্লিকেন্ট খুজে পাওয়া যায় না কারন তাদের রিকোয়ারমেন্ট এ এর কারনে ৪০% স্টুডেন্ট বাদ পড়ে যায়।
২০. জব সোর্সিং :
বেশির ভাগ স্টুডেন্ট জব খুজতে BD jobs এর উপর নির্ভর করেন কিন্তু স্টেন্ডার্ড জব গুলোর নিয়োগ Linkedin এ হয় যা অনেকের অজনা।
২১. রেফারেন্স এর এতো ভ্যালু কেনো !!
টেক্সটাইল এর রেফারেন্স দরকার এই কারনে যেনো আপনি ভুল কপ্রে চলে গেলে আপনাকে ধারার জন্য যে রেফারেন্স দিয়েছে যে তাকে দিয়ে যেনো আপনাকে বের করা যায়।  তাই রেফারেন্স অনেকেই দিতে চায় না।
#নোট: লেখা ইগোতে না নিয়ে বরং এর উপর আমল করলে উপকারে লাগবে,  বিষয় প্রেজেন্ট কন্ডিশন আর ফেক্টরির অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা।

মাজেদুল হাসান শিশির
টেক্সটাইল ব্লগার 

Monday, October 24, 2016


ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিওয়ারিং নামে একটি নতুন ডিপার্টমেন্ট খুলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি অনুমোদনপত্র গত শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার প্রেক্ষিতে নতুন এ ডিপার্টমেন্টের অনুমোদন দিল মঞ্জুরি কমিশন। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন এ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
তবে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে কিনা বা নতুন এ ডিপার্টমেন্টে কতজন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে তা এখনো নিশ্চিত নন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২৬ অক্টোবর বিকেল ৩ টায় মিটিং এ বসবে ভর্তি কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্টার প্রোফেসর মনিরুল ইসলাম বলেন, ভর্তি কমিটির মিটিং এর পর-ই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তবে চলতি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের-ই যেখানে ক্লাসরুমের সঙ্কট, টিচার সঙ্কট সেখানে নতুন ডিপার্টমেন্ট কেন? জবাবে মি. ইসলাম বলেন, বিকেল নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ক্লাস হয় না। তাই এই সময়টাকে প্রশাসন কাজে লাগাতে চায়। দুই শিফটের মাধ্যমে ক্লাস নিলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। উল্লেখ্য, নতুন ডিপার্টন্টের জন্য অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক পদে ১ জন, সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষক পদে ২ জন, এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৬ জনকে নিয়োগের জন্য উন্মক্ত সার্কুলারের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিতে বুটেক্স কতৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।

Monday, August 8, 2016

তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড় থেকে একটু সামনের দিকে গেলেই ছায়া সুনীবিড় ক্যাম্পাস।  বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় সংক্ষেপে বুটেক্স।বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক শিল্পের ভিত গড়ে তোলার লড়াইয়ে নিয়োজিত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ।  এখন পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা এই প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের স্নাতক সম্পন্ন করে দেশ-বিদেশে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।আবার অনেকেই প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজস্ব পোষাক কারখানা। কেউ কেউ ব্যস্ত বিভিন্ন গবেষণা নিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস তুলে আনতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৯২১ সালে।সেই সময়ে ‘উয়েভিং স্কুল’ নামে নারিন্দায় এই প্রতিষ্ঠানটি চালু হয়েছিল।দেশ বিভাগের পর ১৯৫০ সালে এর নামকরণ করা হয়, ‘ইস্ট পাকিস্তান টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট’৷১৯৬০ সালে বর্তমান স্থানে ক্যাম্পাসটি স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭৮ সালে এর নামকরণ করা হয় কলেজ অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি।তখন থেকেই এখানে চার বছর মেয়াদী বিএসসি কোর্স চালু করা হয়।পরবর্তীতে ২০১০ সালে টেক্সটাইল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার প্রস্তাব করা হলে বিলটি জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় বিল’ টি চূড়ান্তভাবে পাস হয়।২২ ডিসেম্বর, ২০১০ থেকে বিলটি কার্যকর হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ১৫ মার্চ ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়’এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
প্রতি বছর ২২ ডিসেম্বর দি
চলমান টেক্সটাইল শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করে পূর্বোক্ত চারটি বিষয়ের সাথে আরো নতুন চারটি বিষয়ের উপর স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও এমএসসি,এমবিএ ও পিএইচডি কোর্সও চালু করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
নটিকে এখানকার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে অত্যন্ত আড়ম্বরের সাথে পালন করে থাকে।

বর্তমানে ক্যাম্পাসটিতে স্নাতক পর্যায়ে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অধ্যনরত আছে।শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুবিধার্থে রয়েছে উচ্চমানের বিভিন্ন ল্যাবরেটরি।শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত আছেন মেধাবী ও পরিশ্রমী একদল শিক্ষক।
বর্তমানে যে সকল বিষয়ের উপর স্নাতক ডিগ্রী প্রদান করা হচ্ছে সেগুলো হলঃ
১। ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং
২।ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং
৩।ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং
৪। এপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং
৫। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট
৬। টেক্সটাইল ফ্যাশন ডিজাইন
৭।ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং
৮। টেক্সটাইল মেশিন ডিজাইন এন্ড মেইন্টেন্যান্স।
শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য তিনটি আবাসিক হল রয়েছে ৷ ছেলেদের জন্য রয়েছে দুটি হল এবং মেয়েদের জন্য একটি হল। ছেলেদের জন্য রয়েছে শহীদ আজিজ হল এবং জি,এম,এ,জি ওসমানী হল আর মেয়েদের জন্য রয়েছে শেখ হাসিনা হল৷
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু বিশ্ববিদায়লয়ের পড়াশনাতেই নিজেদের গন্ডিবদ্ধ করে রাখেনি।প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহন করে আসছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।এছাড়াও বিভিন্ন ক্লাব আর সাংস্কৃতিক সঙ্গঠনগুলো নিয়মিত ভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে।এর মধ্যে বাউলিয়ানা ও একাত্তর কালচারাল ক্লাবের নাম বিশেষভাবে বলতে হয়।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে এসেছেন এই প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়টির লেভেল ৩ টার্ম ২ এর ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রথম স্থান অধিকারী তনিমা ইসলাম তন্বী বলেন, মূলত নিজে কিছু করবো এমন চিন্তা থেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসা।পরবর্তীতে দেশের সবচেয়ে ভাল সেক্টর আর নিজের স্কিল প্রকাশ করার সুযোগ বেশি । এই চিন্তা থেকেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসা।আর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্যে বুটেক্সের চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে?
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্জ পদ অলংকৃত করে আছেন প্রফেসর মাস-উদ আহমেদ।
দেশের সার্বিক উন্নতিতে বেশুমার অবদান রাখলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।ক্লাস রুম আর আবাসন সংকট চরমে।তারপরও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সাথে নিয়েও নীরবে দেশের অর্থনীতি তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

-- আহমদ সাকিব সিনা / মুহাইমিনুল অভি

Tuesday, May 17, 2016

নবীন বস্ত্র প্রকৌশলীরা গতানুগতিক পুরনো ধারার চাকরির গন্ডী থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না । ঘুরে ফিরে ডাইং, মার্চেন্ডাইজিং আর ডাইস ক্যামিকেল মার্কেন্টিং । এর বাইরে যেন আর চাকরী নেই !
নতুন অল অভার প্রিন্ট গড়েছেন; অথচ এটা চালানোর জন্য বস্ত্র প্রকৌশলী পাওয়া দুস্কর । ঘুরে ফিরে মাত্র গোটা কয়েক বস্ত্র প্রকৌশলী খুঁজে পাওয়া যায় ।
এখনও অনেক নিটিং ফ্যাক্টরী চলছে বস্ত্র প্রকৌশলী ছাড়া । অথচ এ সেক্টরে ক্রিয়েটিভিটির বিশাল সুযোগ … সুযোগ অনেক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের !
বেশীরভাগ টেক্সটাইল মিলে কোয়ালিটি বিভাগে এখনও কোন বস্ত্র প্রকৌশলী নেই ।এখানেও ঘুরে ফিরে মাত্র গোটা কয়েক বস্ত্র প্রকৌশলী খুঁজে পাওয়া যায় ।বলা যায় বায়িং হাউজগুলোতে কিউসি পদে বস্ত্র প্রকৌশলী একেবারেই নেই । অথচ আমার দেখা এটা বেশ প্রেস্টিজিয়াস জব । টেক্সটাইল মিলে বায়িং হাউজের কিউসি… ও যেন দেবতা ।
বিশাল ফিল্ড ফাঁকা পড়ে আছে ডেনিমে, এখানেও ঘুরে ফিরে গোটা কয়েক বস্ত্র প্রকৌশলী ।
বস্ত্র প্রকৌশলী যারা চাকরী খুঁজছেন; চাকরীটা যাদের নিতান্তই জরুরী… তারা বোধ হয় জানেন না, আমাদের স্পিনিং সেক্টরে এখনও অজস্র বস্ত্র প্রকৌশলীর অভাব ।
আপনি কি একজন ক্রিয়েটিভ নবীন বস্ত্র প্রকৌশলী ? চোখ বন্ধ করে ওয়াশিং সেক্টরে ঢুকে পড়ুন; আপনার মন যা চায় তাই করুন… নতুনত্ব এখন ফ্যাশন । গ্যারান্টী দিচ্ছি… পেছন ফিরে আর চাইতে হবে না ।
সব ভালো ফ্যাক্টরীতেই এখন আরএন্ডডি সেকশন আছে; অথচ এখানে বস্ত্র প্রকৌশলী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।
প্লানিং এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সেকশন । বস্ত্র প্রকৌশলী খুঁজে পাওয়া যায় না এখানেও ।
ওভেন ডাইং সেক্টর একটা সাগর… অথচ তেমন বস্ত্র প্রকৌশলী নেই এখানেও ।
চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন তো, দেশের প্রায় সব গার্মেন্টসের জিএম একজন বস্ত্র প্রকৌশলী… তেমন হলে গার্মেন্টস শিল্পের চেহারাটা কেমন হবে । নাক সিটকাবেন না… আপনি হয়তো জানেন না, একটা ভালো ফ্যাক্টরীর গার্মেন্টসের জিএম ডাইংয়ের জিএম এর মতো সমান সুবিধা নিয়েই চলে; বরং কখনও আরো বেশী । হাস্যকর হলেও সত্যি ডাইং জিএমদের এই গার্মেন্টসের জিএমদের খুশী করেই চলতে হয় । এবার বলুন… ক’জন বস্ত্র প্রকৌশলী আছেন গার্মেন্টসের জিএম পদে ।
একজন ডাইং মেশিন ম্যানুফেকচারার এর সাথে কথা হলো গতকাল । বোর্ড বাজারে তার ফ্যাক্টরী; অশুদ্ধ ভাষায় ভুলভাল কথা বলছিল আমার সাথে । বোধ হয় সে নিরক্ষর । আজ সন্ধ্যায় আমার টেবিলের সামনে বসা ছিল একটা ছোটখাটো ওয়াশিং ফ্যাক্টরীর মালিক । ইমেইল এড্রেস লিখতে বলায় সে কলম ভেঙে ফেলছিল । এ মানুষগুলো হয়তো স্বল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত… তথাপি এ মানুষগুলোর অবস্হান, ডাইংয়েই চাকরী করবে গোঁ ধরে বসে থাকা একজন বস্ত্র প্রকৌশলীর চেয়ে অনেক উপরে ।
সর্বশেষে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ননট্যাকনিকাল হয়েও যারা এ সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ অবস্হানে আছেন; আপনাদের অবদান এ সেক্টরে অসামান্য । আপনাদের খাঁটো করছি না… বরং আমরা বস্ত্র প্রকৌশলীরা এ সেক্টরে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে আপনাদের সাথে নিয়ে নিজের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি এ সেক্টর তথা দেশটাকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি ।
আমি চাইলেই আমাকে বদলাতে পারি; কেউ এসে জোর করে বদলে দিবে না আমার ভবিষ্যৎ ।।