এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হলেই আকাশ ছোয়ার স্বপ্প নিয়ে যুদ্ধে নামে একদল মেধাবী তরুণ। কারও লক্ষ্য ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেও হতে চায় ব্যাবসায়ী কেউ বা ব্যারিষ্টার। এদের থেকেই একদল মেধাবী তরুণের ঠিকানা হয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। তাদের আনন্দের সীমা থাকে না। কারণ এদেশের সচিব থেকে শুরু করে কৃষক পর্যন্ত সবাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার পেশা সম্পর্কে চোখ বন্ধ করে বলে দেয়- উজ্জল ভবিষ্যত, টাকা আর টাকা। কিন্তু ভর্তি হবার পরেই ছাত্রের ধারণা বদলাতে থাকে। কর্মক্ষেত্রে থাকা সিনিয়র ভাই-বোনদের হতাশা মাখা কথা শুনে মন খারাপ হয়ে যায়। চাকরিতে কষ্টের কথা শুনলেও নিজের স্ট্যামিনার ওপর তবুও সে আস্থা হারায় না। একদিন সে কর্মক্ষেত্রে আসে। এবার ক্যাম্পাসের বড় ভাইদের কথাগুলো মনে হয়, কিন্তু কিছু করার থাকে না। প্রোডাকশনে জব করতে গেলে নাইট ডিউটি করতে করতে চোখের নিচে কালি পরে যায়, মার্চেন্ডাইজিংএ এসে অল্প বয়সেই হাই প্রেশার হয়ে যায়ে ইত্যাদি।
তবে একসময় সত্যি সত্যি সব গায়ে সয়ে যায়। ৮ ঘন্টি ওয়ার্কিং আওয়ারের জায়গায় ১২ ঘন্টা অফিস করতেও খারাপ লাগে না, সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে সারা রাত তিনি ফ্যাক্টরিতে কাটাতে পারেন অন টাইম শিপমেন্টের জন্য, একমাত্র শালার বিয়ে, বান্ধবীর গায়ে হলুদে জয়েন করা হয়ত সম্ভব হয় না। তবুও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদেরও জীবন বয়ে চলে। তাদের জীবনেও স্বাধ-আহলাদ পুরণ করার সুযোগ হয়। হয়ত খুব বেশি সময় তারা পরিবারে দিতে পারে না তবুও যতটুকু পারা যায় কম কিসের। চাকরিতে কষ্ট হোক, মাঝে মাঝে আক্ষেপ হোক তারপরেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখে-সৎ ভাবে আয় করে একটি সাজানো বাড়ি, সুন্দর একটা গাড়ি ও একটি সাজানো সংসার।
কাজে ব্যাস্ত কোন এক মুহুর্তে হঠাৎ অফিস টেবিলে চলে আসে যদি বিবাহ বার্ষিকি উপলক্ষে প্রিয়তমার পাঠানো ফুলের তোড়া, এর থেকে সুখের আর কি আছে....

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
লিখেছেন ---  

Fazlay Rabby James